মক্কার পথে একদিন :
শিকার থেকে ফিরছেন তিনি। হাতে তির-ধনুক।
দ্রুতগতিতে এগোচ্ছেন কাবার দিকে। অভ্যাসমতো আজ তাওয়াফের জন্য নয়। তাঁর ভেতরে এখন টগবগ করছে খুন। ক্ষোভে-রাগে যেন পড়ছেন ফেটে। অন্যবার ফেরার পথে কারও সাথে দেখা হলে, দাঁড়িয়ে দুচারটি আলাপ করতেন। আজ কিছুই করছেন না। সাফা পাহাড়ের নিকটে সংবাদটি পেয়ে আর স্থির থাকতে পারছেন না। যে সংবাদটা তাঁকে প্রদান করেছে আবদুল্লাহ ইবনু জুদআনের এক দাসী।
হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন শিকার থেকে ফিরে সাফা পাহাড়ের কাছাকাছি এলেন, দাসীটি তাঁকে ডেকে বলল, ‘হে আবু আম্মারা, যদি আপনি কিছুক্ষণ আগে আপনার ভাতিজার অবস্থা দেখতেন! তিনি কাবার পাশে মানুষকে উপদেশ দিচ্ছিলেন। আর আবু জেহেল তাঁকে নোংরা গালি ও ভীষণ কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু মুহাম্মদ কোনো জবাব না দিয়ে অসহায়ভাবে ফিরে গেছেন।’
কাছে যেতেই কাবার প্রাঙ্গণে আবু জেহেলকে দেখা গেল। হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তার মাথায় সজোরে ধনুকের আঘাত বসিয়ে দেন। আবু জেহেলের মাথা কেটে রক্ত বের হয়। বনু মাখযুমের কিছু লোক তাকে সাহায্য করতে দৌড়ে আসে। তারা হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে প্রশ্ন করে, ‘সম্ভবত তুমি ধর্মত্যাগ করেছ?’ তিনি জবাব দেন, ‘সত্য যখন আমার কাছে প্রকাশ হয়ে গেছে, তার থেকে আমাকে রুখে কে? আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল। তিনি যা বলেন, সবই সত্য। আমি আর কখনো তাঁর থেকে ফিরে আসতে পারব না। তোমরা যদি সত্যবাদী হও, আমাকে বাধা দিয়ে দেখো।’
আবু জেহেল বনু মাখযুমের লোকদের বলল, ‘তোমরা হামযাহকে ছেড়ে দাও। কিছুক্ষণ আগে আমি তাঁর ভাতিজাকে গালি দিয়েছি।’
হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বাপদাদার ধর্মত্যাগের কথাগুলো বলেছিলেন রাগে-ক্ষোভে। ভাইয়ের ছেলেকে অপমান হামযাহর রক্তে সহ্য হয়নি। বংশের কারও অসম্মান গোত্রপ্রীত আরবরা মানতে পারত না। হামযাহ বাড়ি ফিরে সংশয়-সন্দেহের আবর্তে পড়ে যান। বাপদাদার ধর্ম তাঁকে দূর থেকে হাত বাড়ায়। অস্থিরতায় সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি। কাবায় এসে বিনীত ভরে দুআ করেন, সত্যের জন্য তাঁর হৃদয় যেন উন্মুক্ত হয়ে যায়। দুআ শেষে হৃদয় তাঁর তৃপ্তিতে ভরে ওঠে। রাসুল সাল্লালাহু আলাহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে নিজের অবস্থা তুলে ধরেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁর সুস্থিরতার জন্য দুআ করেন।
হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন ইসলাম গ্রহণ করলেন, মুসলমানদের তখন দুর্দিন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আরকাম ইবনু আবিল আরকামের ঘরে অবস্থান করে গোপনে ধর্মের প্রচার করছেন। মুসলমান ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার নিরাশ্রয়। কাফেরেরা হিংসা-ঠাট্টা করে প্রতিনিয়ত। হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইসলাম গ্রহণের পর দিন আর আগের মতো থাকেনি। মক্কার কাফেরেরা হামযাহর সাহসিকতা খুব ভালো করে জানত।
হামযাহর ইসলাম গ্রহণের কয়েকদিন পর যখন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ইসলাম গ্রহণে আসলেন, উমরের হাতে ছিল তরবারি। আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহুর ঘরে উপস্থিত সাহাবিরা ভয় পেয়ে গেলেন। হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তাঁকে আসতে দাও। তাঁর উদ্দেশ্য যদি ভালো হয়, আমরাও তাঁর সাথে ভালো আচরণ করব। নতুবা তাঁর তরবারি দ্বারাই তাঁকে হত্যা করা হবে। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ঘরে ঢুকে কালিমায়ে শাহাদাদ পড়লেন। আরকামের ছোট ঘর থেকে তাকবির ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ল। বাতাসে ভাসতে ভাসতে সে ধ্বনি একসময় পৌঁছে গেল পৃথিবীর দিকদিগন্তে। হামযাহ ও উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমার ইসলাম গ্রহণ ছিল মুসলমানদের জন্য আনন্দের। মক্কার অবস্থা তখন মোড় নেয় অন্যদিকে। মুশরিকরা বুঝতে পারে মুসলমাদের আর সহজে ক্ষতি করা সম্ভব না।
হিজরতপর্ব
মক্কা এক সময় মুসলিমদের জন্য সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। দলে দলে মুসলমানেরা মদিনায় হিজরত শুরু করেন। নবুওয়াতের ত্রয়োদশ বছরে হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুও তাঁদের সাথে হিজরতে বেড়িয়ে পড়েন। পেছনে তাঁর শহর, গোত্র, জন্মস্থান, মাতৃভূমি। সামনে অপরিচিত গন্তব্য।
হিজরতের পর ইসলাম আর আগের মতো থাকেনি। জুলুম-অত্যাচার সহ্যের বিপরীতে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শুরু হয়। কাফেরদের উদ্দেশ্যে ছোটবড় অনেক দল প্রেরিত হতে থাকে। হিজরতের সপ্তম মাসে ঈশ নামক এলাকার সমুদ্রোপকূলে মুজাহিদদের একটি বাহিনী পাঠানো হয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এই বাহিনীর ঝাণ্ডা হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতে তুলে দেন। ত্রিশ সদস্যের মুজাহিদদের এই বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল কুরাইশদের চোখেচোখে রাখা। আবু জেহেলের নেতৃত্বে তিনশো অশ্বারোহীর এক বাহিনী সিরিয়া থেকে ফিরছিল। আমর জুহানির কারণে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে কোনো দল জড়ায়নি। আমর জুহানির সাথে উভয় পক্ষের সন্ধি ছিল। ইবনু আবদিল বারসহ কোনো কোনো ঐতিহাসিক মনে করেন, এটিই ছিল সর্বপ্রথম রাসুলের পক্ষ থেকে কারও হাতে ঝাণ্ডা তুলে দেয়া। যেটি পেয়েছিলেন হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু। দ্বিতীয় হিজরির আবওয়া ও উশায়রা অভিযানেও তিনি ছিলেন পতাকাবাহী।
বদরপ্রান্তরে মক্কার মুশরিকদের সাথে মুসলামানদের যুদ্ধ সংঘটিত হয় দ্বিতীয় হিজরিতে।
উভয়পক্ষ যুদ্ধের জন্য সারিবদ্ধ হলো। কাফেরদের সারি থেকে উতবা, শাইবা ও ওয়ালিদ বেরিয়ে এসে মুসলিম বাহিনীর কাউকে যুদ্ধের আহ্বান জনায়। মুসলিমদের কাতার থেকে তিনজন আনসার মুজাহিদ এগিয়ে যান। উতবা চিৎকার ছেড়ে বলে,‘ মুহাম্মদ, আমাদের সমকক্ষ লোকদের পাঠাও। এদের সাথে আমরা লড়তে চাই না।’ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আদেশ দিলেন। হামযাহ, আলী ও আবু উবায়দাহ দ্রুত বেগে ছুটে গেলেন। প্রথম আক্রমণে হামযাহ হত্যা করলেন উতবাকে। আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু শায়বার উপর জয় লাভ করলেন। আবু উবায়দাহ ও ওয়ালিদের মধ্যে কিছুক্ষণ লড়াই চলল। আলি এগিয়ে গিয়ে ওয়ালিদকে মাটিতে ফেলে দেন। শত্রুপক্ষ থেকে তুয়াইমা ইবনু আদি এগিয়ে আসে। হামযাহর সহযোগিতায় তাকেও আলি হত্যা করেন।
এরপর শুরু হয় উভয় পক্ষের তুমুল লড়াই। হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বাহাদুরির পরিচয় দেন। যেদিকে যান, কাফেরদের মধ্যে মৃত্যুভীতি ছড়িয়ে দেন। হামযাহর পাগড়ির উপর উটপাখির পালক গোঁজা। ময়দানে যেদিকে যাচ্ছেন, দেখা যাচ্ছে তাঁকে। উমাইয়া ইবনু খালাফ আবদুর রহমান ইবনু আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করেছিল, মাথায় উটপাখির পালক গুঁজা লোকটি কে? তিনি যখন উত্তরে বললেন, হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু, উমাইয়া বলেছিল, ‘এই লোকটিই আজ আমাদের সবচেয়ে বেশি সর্বনাশ করেছে।’
শাহাদাতপর্ব
ওয়াহশি ছিলেন একজন হাবশি ক্রীতদাস। জুবাইর ইবনু মুতইম তাকে গোলাম হিসেবে ক্রয় করে এনেছিল। বদর থেকে মক্কায় ফিরে জুবাইর ইবনু মুতইম ওয়াহশিকে পুরস্কার ঘোষণা করে বসল। ‘যদি তুমি মুহাম্মাদের চাচা হামযাহকে হত্যা করে আমার চাচা তুয়াইম ইবনু আদির হত্যার প্রতিশোধ নিতে পারে, আমি তোমাকে মুক্ত করে দেবো। তুয়াইম ইবনু আদি ছিল জুবাইর ইবনু মুতইমের চাচা, যে বদরযুদ্ধে হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতে নিহত হয়েছে। ওয়াহশিকে সেভাবে গড়ে তোলা হলো। যুদ্ধের জন্য বিশেষ ট্রেনিংও দেয়া হয়।
তৃতীয় হিজরিতে কুরাইশ বাহিনী মদিনার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। প্রতিশোধের স্পৃহা তাদের বুকে বারবার নেচে উঠছে। বদরের পরাজয় তাদের আত্মাভিমানে আঘাত করেছে। বড়বড় নেতাদের হারিয়ে লজ্জায় মুখ দেখানোর অবস্থা ছিল না তাদের।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম মদিনা থেকে বের হয়ে উহুদপ্রান্তরে তাদের গতিরোধ করেন। যুদ্ধের জন্য ময়দান সাজানো হলো। দুই সারিতে দাঁড়ায় দুই দলের সৈন্যরা। কাফিরদের সারি থেকে সিবা নামক এক সৈন্য এগিয়ে এসে যুদ্ধের আহ্বান করে। হামযাহ কোষমুক্ত তরবারি নিয়ে এগিয়ে যান। সিবাকে লক্ষ্য করে চিৎকার করে বলেন, ‘হে উন্মু আনমারের অপবিত্র পানির সন্তান! তুই এসেছিস আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে!’ তারপর ঝাঁপিয়ে পড়েন হামযাহ। কিছুক্ষণের মধ্যে মাটিতে লুটে পড়ে সিবা।
উভয় দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। হামযাহ অসীম সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। একা এই যুদ্ধে ত্রিশজন কাফেরকে হত্যা করেন।
ওয়াহশি লোকিয়ে ছিলেন একটি পাথরের আড়ালে। হামযাহর অপেক্ষায়। কাছাকাছি হামযাহ পৌঁছুলে ওয়াহশি বর্শা নিয়ে এগিয়ে গেলেন। অতর্কিত আক্রমণ করে হামযাহকে শহিদ করে ফেলেন। হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর তখন বয়স ষাটের কাছাকাছি। ক্যালেন্ডারে হিজরির তৃতীয় সনের শাওয়াল মাসের মাঝামাঝি চলছে।
হামযাহকে শহিদ করার পর ওয়াহশি আর যুদ্ধ জড়াননি। স্বাধীন হবার শর্ত পূরণে নিজ দলের কাছে নীরবে বসে যান।
হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাতে কুরাইশের রমণীরা আনন্দের গানে মেতে উঠল। বড়বড় কাফেরদের হত্যাকারী হামযাহ নেই শুনে কাফেরেরা হলো পুলকিত। আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্ত্রী হিন্দা বিনতু উতবা হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর নাক-কান কেটে তা দিয়ে অলঙ্কার বানিয়েছিল। পেট ছিঁড়ে কলিজা বের করে চিবিয়ে থুথু নিক্ষেপ করেছিল।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম উহুদের শহিদগণের কাফনদাফনের ব্যবস্থা করলেন। তিনি হামযাহর কাছে এসে কেঁদে ফেললেন। হিন্দা তাঁর নাক-কান কেটে বিকৃত করে ফেলেছিল। রাসুল বললেন, ‘কেয়ামতের দিন হামযাহ হবেন সায়্যিদুশ শুহাদা। শহিদকুলের সরদার।
সাফিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা তাঁর জন্য দুখানা চাদর পাঠান। সাফিয়্যাহ ছিলেন হামযাহর সহোদরা। তাঁর শাহাদাতের খবর শুনে দৌড়ে এসেছিলেন দেখতে। ভাইয়ের বিকৃত দেহ তিনি সহ্য করতে পারবেন না বলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে ফিরিয়ে দেন। হামযাহর কাফন দিতে গিয়ে দেখা যায় পাশে আরেকটা লাশ কাফনবিহীন পড়ে আছে। সাফিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনাহার চাদর দুটি দুজনের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। এক চাদরে হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর দেহ পুরোপুরি ঢাকা যাচ্ছিল না। মাথা ঢাকলে পা বের হয়ে যেতো, পা ঢাকলে মাথা। শেষে মাথা চাদর দিয়ে ঢেকে পায়ে ইজখির ঘাস দিয়ে দাফন দেয়া হয়। উহুদের প্রান্তরে শহিদদের তখন দুজনকে এক কবরে দাফন করা হচ্ছিন। কবরে হামযাহর সঙ্গী হন আবদুল্লাহ ইবনু জাহাশ।
মক্কাবিজয়ের পর হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর হন্তারক ওয়াহশি রাসুলের দরবারে হাজির হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি ওয়াহশি?’
ওয়াহশি বললেন, ‘জি।’
‘তুমি কি হামযাহকে হত্যা করছিলে?’
‘আপনি সত্য শুনেছেন।’
‘তুমি কি তোমার চেহারা আমার থেকে একটু গোপন করতে পারবে?’
ওয়াহশি রাসুলের দরবার থেকে বেরিয়ে পড়েন। জীবনে আর কখনো তাঁর সামনে পড়েননি।
রাসুলের সাথে সম্পর্ক
কাছাকাছি বয়সের ছিলেন তাঁরা। তবে হামযাহ দুই বা চার বছরের বড় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম থেকে। একসাথে বেড়ে উঠেছেন। শৈশবে খেলাধুলা করেছেন একসাথে। বাবার দিক থেকে সম্পর্ক চাচা-ভাতিজার। মায়ের দিক থেকে খালাতো ভাই। হালা বিনতু উহাইব আমিনার চাচাতো বোন। হালা হলেন হামযাহর মা। আবু লাহাবের দাসী সুওয়াইবা রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে দুধ পান করান। সেদিক থেকে সম্পর্ক দুধভাইয়ের।
ছেলেবেলা থেকেই হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন তিরন্দাজ। তরবারি চালানো ও কুস্তির প্রতি প্রবল আগ্রহ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম সাহসিকতার জন্য তাঁর উপাধী দিয়েছিলেন, আসাদুল্লাহি ওয়া আসাদু রাসুলিহি।